Amar Sobcheye Priya Bishay Essay in Bengali : In this article "আমার সবচেয়ে প্রিয় বিষয় নিবন্ধ" for students of class 5, 6, 7, 8, 9, and 10.
Amar Sobcheye Priya Bishay Essay in Bengali : In this article "আমার সবচেয়ে প্রিয় বিষয় নিবন্ধ" for students of class 5, 6, 7, 8, 9, and 10.
Bengali Essay on "Amar Sobcheye Priya Bishay", "আমার সবচেয়ে প্রিয় বিষয় নিবন্ধ" for Students
এই বিশ্বে অনেক বিস্ময়কর এবং সুন্দর জিনিস পাওয়া যায়। যে কোন জিনিসকে আরও সুন্দর এবং উপভােগ্য বানানাের জন্য মানুষ ক্রমাগত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বকে সুন্দর করে তােলার এই পরিকল্পনা ক্রমাগত চলতেই থাকবে। কোন শেষ নেই। এই বিশ্বে সুন্দর এবং বিস্ময়কর বস্তুর এতই প্রাচুর্য যে তার মধ্যে থেকে কোনটি সবথেকে সুন্দর তা খুঁজে বার করা খুবই কঠিন। যাইহােক এই প্রাচুর্যের মধ্যে থেকেও আমি পাঁচটি বস্তুকে খুঁজে বার করেছি, এইগুলিকে অবলম্বন করেই আমি নিজের ভবিষ্যৎ জীবন গড়ে তুলতে চাই।
সর্বপ্রথম, আমি একজন প্রকৃতি প্রেমী। শহুরে জীবনের এই কৃত্রিম জিনিসগুলি দেখে দেখে আমার বিরক্তি ধরে গেছে। আমি একটি গ্রামে বসবাস করতে চাই এবং সেখানকার প্রকৃতিকে উপভােগ করতে চাই। আমি প্রকৃতির সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে চাই কারণ প্রকৃতিই প্রকৃত বন্ধু এবং পথপ্রদর্শক। প্রকৃতি প্রেমী কোন মানুষ তাকে প্রবঞ্চিত করলে সেটি শােভা পায় না। ইংরাজী কবি ওয়ার্ডসওয়ার্থও একজন প্রকৃত প্রকৃতিপ্রেমী ছিলেন, এবং তিনিও তার কবিতায় এই একই বিষয় স্বীকার করেছেন। আমি পাহাড়, মুক্ত উপত্যকার চির সবুজ ভাব, ঠাণ্ডা মৃদু মন্দ বাতাস এবং প্রকৃতির অন্যান্য আরও রূপকে উপভােগ করতে চাই। এখানে আমি এমন, কিছু মানুষদের খুঁজে পেয়েছি যাদের প্রকৃতি শহুরে মানুষদের প্রকৃতির থেকে বেশ আলাদা। তাদের বেঁচে থাকার উদ্দেশ্য হল - সরল জীবনযাপন এবং উচ্চ চিন্ত’ এখানে থাকার সুবাদে আমি কিছু সৎ সরল মানুষের সান্নিধ্যে আসার সুযোেগ পাব।
দ্বিতীয়ত, আমি নিজের জীবিকা হিসাবে ‘অধ্যাপনাকে বেছে নিতে আগ্রহী। ভারতবর্ষের অধিকাংশ মানুষই নিরক্ষর, এই ঘটনা আমাকে খুবই আঘাত করে। গণতন্ত্রের প্রকৃত অর্থকে সাফল্যমণ্ডিত করতে হলে, নিরক্ষরতার স্তরকে কমাতেই হবে। এই জীবিকার সাথে আমার প্রচুর শ্রদ্ধা এবং ভালােবাসা জড়িয়ে আছে। আমি পুরুষ এবং মহিলা উভয়কেই শিক্ষা প্রদান করতে চাই। দেশের প্রতিটি কোণায় এবং গলিতে শিক্ষার আলাে পৌছে দেওয়া খুবই প্রয়ােজন। আমি মনে করি যে এই জীবিকার মাধ্যমে আমি উপযুক্ত পথে দেশের জন্য কিছু সেবা করতে পারব।
তৃতীয় আমি কিছু উপন্যাস পড়ার জন্য খুবই ব্যগ্র। শরৎচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ এবং শীর্ষেন্দু মুখােপাধ্যায় - আমার প্রিয় লেখক।
উপন্যাসের মাধ্যমে জ্ঞানের সীমা আরও প্রসারিত হয়। এর মাধ্যমে আমরা এই জটিল বিশ্বকে দেখার অন্তদৃষ্টি লাভ করি। অনেক সময় আমরা এই উপন্যাসের মাধ্যমে যে জ্ঞান সঞ্চয় করি তা আমাদের অনেক অসুবিধার হাত থেকে মুক্তি দেয়। এর থেকে আমরা দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করার জন্য অনেক পরিকল্পনা গ্রহণ করতেও সক্ষম হই।
চতুর্থতঃ আমি আমার দেশকে ভালােবাসি। আমার দেশের সম্মান রক্ষার্থে আমি যে কোন আত্মত্যাগ করতে পারি। যদি আমাকে কেউ বিদেশে । গিয়ে সেখানকার সেবা করতে বলেন (এবং যদি আমি খুব ভালাে বেতন পাই) তবে আমি প্রথমেই তা প্রত্যাক্ষান করে দেব। ভারতীয় জীবন, সূর্যোদয়, বাড়ী, বস্তু, বাবা-মা এবং অন্যান্য আত্মীয়দের প্রতি আমার একটা স্নেহান্ধতা আছে, সেক্ষেত্রে জন্মভূমির প্রতি আমার যে কর্তব্য আছে তা আমি কখনই ভুলতে পারব না কারণ এই মাতৃভূমিতেই আমি জন্মেছে এবং লালিত পালিত হয়েছি।
আমার শেষ কিন্তু শেষ হয়েও হইল না শেষ’, ভালােবাসার বিষয় আমার বাড়ী। কেউ ঠিকই বলেছেন যে “East or West, home is the best”। আমার একটা ছােট্ট বাড়ী আছে এতে আধুনিক সমস্ত সুবিধা না থাকলেও এটা স্বর্গের চাইতে কোন অংশে কম নয়। আমি আমার যে সমস্ত বন্ধুদের বাড়ীতে যাই তাদের বাড়ীগুলি অত্যাধুনিক সাজে সুসজ্জিত। সেই বাড়ীগুলিতে খাওয়ার ঘর, সােবার ঘর ও বসার ঘর আছে এবং সেখানে খুবই তেল মশালাদার দামী খাবার পরিবেশন করা হয়। কিন্তু এই সমস্ত কিছুকে আমি জীবনের অন্ধকার দিক বলেই মনে করি কারণ এগুলি সবই কৃত্রিম।
উপরে আমি যে পাঁচটি বিষয় নিয়ে কথা বললাম সেগুলি আমার আত্মার খুব কাছেই থাকে এবং এগুলি ছাড়া আমার জীবন অচল।
COMMENTS