Ugly Duckling Short Story in Bengali Language: In this article, we are providing কুৎসিত হংসশাবক গল্প বাংলা for students. Ugly Duckling Short Story Bangla. কোন এক সময় ওখানে একটা ছােট্ট খামার ছিল, সেই পুকুরে অনেক হংস ও হংসী ঘুরে বেড়াত। একদিন মে মাসের এক সকালে একটা হাঁস তার বাসার মধ্যে অনেকগুলি ডিমের উপর বসে ছিল, তার মনে হল যে সেগুলির মধ্যে কিছু নড়ছে – তার পরেই ডিম গুলিতে চির খেতে থাকে। চিচি শব্দে তার ডিম ফেটে বাচ্চারা বেরতে থাকে। সে খুবই খুশী কারণ সে বহুদিনের জন্য এই খামারে থাকবার সুযােগ পাবে। এক এক করে তার ডিমগুলি ভেঙে হংসশাবক বেরিয়ে আসতে থাকে, প্রতিটি বাচ্চা ছিল নরম তুলাের মতন। সবথেকে বড় ডিমটিতে সবার শেষে ফাটল ধরে। সেটা ছিল বিশালাকারের ডিম তা থেকে যে বাচ্চা বেরায় সেটা ছিল সবচেয়ে বড় এবং তার গা ছিল ধুসাের বর্ণের। সে দেখার দিক থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রকৃতির ছিল। মা হাঁসটি সেটাকে দেখে ভাবে – এই হংসশাবকটি কি বড় এবং কুৎসিত। সে তাকে একই রকম ভালােবাসতাে। মা হংসটি যখন তার বাচ্চাদের নিয়ে পুকুরে যায় তখন কুৎসিত হংশশাবকটিও অন্যদের মতন সাঁতার কাটে এবং সেই কারণে মায়ের আর তার বাচ্চা নিয়ে কোন ভয় ছিল না।
Ugly Duckling Short Story in Bengali Language: In this article, we are providing কুৎসিত হংসশাবক গল্প বাংলা for students. Ugly Duckling Short Story Bangla.
কোন এক সময় ওখানে একটা ছােট্ট খামার ছিল, সেই পুকুরে অনেক হংস ও হংসী ঘুরে বেড়াত। একদিন মে মাসের এক সকালে একটা হাঁস তার বাসার মধ্যে অনেকগুলি ডিমের উপর বসে ছিল, তার মনে হল যে সেগুলির মধ্যে কিছু নড়ছে – তার পরেই ডিম গুলিতে চির খেতে থাকে। চিচি শব্দে তার ডিম ফেটে বাচ্চারা বেরতে থাকে। সে খুবই খুশী কারণ সে বহুদিনের জন্য এই খামারে থাকবার সুযােগ পাবে।
এক এক করে তার ডিমগুলি ভেঙে হংসশাবক বেরিয়ে আসতে থাকে, প্রতিটি বাচ্চা ছিল নরম তুলাের মতন। সবথেকে বড় ডিমটিতে সবার শেষে ফাটল ধরে। সেটা ছিল বিশালাকারের ডিম তা থেকে যে বাচ্চা বেরায় সেটা ছিল সবচেয়ে বড় এবং তার গা ছিল ধুসাের বর্ণের। সে দেখার দিক থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রকৃতির ছিল।
মা হাঁসটি সেটাকে দেখে ভাবে – এই হংসশাবকটি কি বড় এবং কুৎসিত। সে তাকে একই রকম ভালােবাসতাে। মা হংসটি যখন তার বাচ্চাদের নিয়ে পুকুরে যায় তখন কুৎসিত হংশশাবকটিও অন্যদের মতন সাঁতার কাটে এবং সেই কারণে মায়ের আর তার বাচ্চা নিয়ে কোন ভয় ছিল না।
পরের দিন মা হংসটি তার বাচ্চাদের নিয়ে প্রথমবার গােলা বাড়িতে উপস্থিত হয়। গর্বিত মা তার বাচ্চাদের সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড় করালেও কুৎসিত হংসশাবককে সকলের শেষে দাঁড় করায় এবং পরিচয় করানাের সময় সৌজন্যতার খাতিরে কিভাবে মাথা নিচু করতে হয় তা তাকে শিখিয়ে দেয়।
হাঁসের পরিবার গােলাবাড়ির উঠানে এলে উপস্থিত হলে অন্যান্য হাঁস, মুরগী এবং হংসীরা সেখানে এসে ভিড় করে, অন্যান্য হাঁসগুলি খুবই অসভ্য প্রকৃতির ছিল।
বরফের মতন সাদা একটি হাংস এই হংসশাবকের দিকে তাকিয়ে বলে ‘এই ছােট্ট কুৎসিত হাঁসটিকে দেখ। সে মােটেই আমাদের মতন না, এমন সময় একটি বৃদ্ধ হংসী তার কাছে যায় এবং তার গলায় কামড়াতে থাকে।
মা হংসটি কেঁদে বলে ওকে ছেড়ে দাও। কিন্তু অন্যান্য পাখীরা এই কুৎসিত হংসশাবককে একই ভাবে বিরক্ত করছিল। কিছু দিন বাদে তার নিজের ভাই বােনেরাও তাকে কুৎসিত হংসশাবক’ বলে ডাকত এবং তারা তাকে পাত্তা দিত না।।
দিন বয়ে যাচ্ছিল এবং বাচ্চা হাংসটি বড় হওয়ার সাথে সাথে আরও কুৎসিত হয়ে যাচ্ছিল। দিনে দিনে তাকে আরও বেশি বিরক্ত করা হােত। অবশেষে সে ঠিক করে যে, সে কোথাও চলে যাবে। সে শস্যভূমির দিকে ছুটতে থাকে, সেখানে যে ছােট্ট পাখীরা বাস করত তারা তাকে দেখে খুবই ভয় পেয়ে যায়।
সে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে ‘ওরা ভেবেছে আমি খুবই কদাকার। তার পর যে একটা জলাভূমির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়, সেখানে অনেক হংসীরা বসবাস করত। সে খুবই ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল আর অন্য কোথাও যাওয়ার ক্ষমতা ছিল না তাই সে রাতে সেখানেই থেকে যায়। বড় হংসীরা সকাল বেলায় তাকে দেখতে পায়।
তারা জিজ্ঞসা করে ‘তুমি কি ধরনের পাখী’ সে উত্তর দিতে যাবে এমন সময় একজন মানুষ তার কুকুর নিয়ে এদিকেই আসছিল, সেই দেখে হংসীগুলি লুকিয়ে পরে এবং কুৎসিত হংসশাবকটিও নিজেকে মাসের আড়ালে লুকিয়ে ফেলে কারণ যে সত্যিই খুব ভয় পেয়েছিল।
যখন সে বুঝল যে কুকুর চলে গেছে তখন একাকী ছােট্ট হংসশাবকটি পুনরায় ঝােপের আড়াল থেকে বেরিয়ে আসে ও বসবাসের জন্য অন্য স্থানের সন্ধান করতে থাকে। অবশেষে সে একটা ছােট্ট বিকৃত কুঁড়ে ঘরের সামনে এসে উপস্থিত হয়, সেখানে একজন বৃদ্ধা তার বিড়াল ও মুরগী নিয়ে বাস করত। সে হাঁসের বাচ্চাটি দেখে সেটিকে বাজারে বিক্রি করার উদ্দেশ্যে ঘরে নিয়ে যায়।
বিড়াল ও মুরগীটি তাকে দেখে অবাক হয়ে যায় এবং তাকে একটা অসভ্য হংসশাবক বলে মনে করে। ঘরের ভেতরটি ছিল খুবই গরম এবং শুকননা তাই হাঁসটির খুব গরম লাগে এবং তার সাঁতার কাটার ইচ্ছা হয়।
সুতরাং একটা সুন্দর দিনে সে ঝিল খোঁজার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ে।
কিলে নেমে সে খুবই খুশী হয়েছিল কিন্তু সেখানকার কোন হাঁসই তার সাথে কথা বলছিল না। সে ভাবল সে খুবই কুৎসিত তাই কেউ কথা বলছে না।
একদিন সন্ধ্যাবেলা সে একদল সুন্দর পাখীকে আকাশ দিয়ে উড়ে যেতে দেখল। তাদের ডানাগুলি ছিল ধপধপে সাদা এবং ডানাগুলি ছিল লম্বা। তাদেরকে দেখে কুৎসিত হংসশাবকটি কেঁদে ফেলল সে তার কান্নার কারণ জানত না।
একটু বাদেই অন্যান্য হাঁসেরা বাড়ির দিকে যেতে থাকে কারণ তারা জানত যে শীত আসছে। ছােট্ট হংসশাবকটা ঝিলের উপরেই বসে থাকে। কিন্তু আবহাওয়া ক্রমশ ঠাণ্ডা হয়ে উঠছিল। রাত্রে খুবই ঠাণ্ডা পড়েছিল, হাঁসটি বুঝতে পারে যে তার পা ঠাণ্ডা হয়ে যাচ্ছে এবং সে বরফের আস্তরণের তলায় চলে যাচ্ছে।
সৌভাগ্য বশত একজন চাষী তাকে দেখতে পায় এবং সে বরফের আস্তরণ ভেঙে তাকে মুক্ত করে। দয়ালু চাষী তাকে তার বাড়িতে নিয়ে যায় সে ভাবে এই আজব পাখীটিকে বাচ্চাদের জন্য পুষলে বাচ্চারা খুবই খুশী হবে।'
হংসশাবকটিকে রান্না ঘরের মেঝেতে রাখার সঙ্গে সঙ্গে চাষীর বাচ্চারা তাকে দেখে ভয় পায় এবং তারা চিৎকার করে ওঠে, হংসশাবকটি উড়ে গিয়ে দুধের বালতিতে বসে এবং তা ফেলে দেয় তারপর সামনের থালা পার করে আটার মালায় বসে এবং তা ছড়িয়ে ছিটিয়ে নষ্ট করে। সে তার প্রচুর ক্ষতি করে।
চাষির বৌ এই সব ঘটনা দেখে খুবই রেগে যায় এবং তাকে তাড়া দিয়ে রান্না ঘর থেকে বের করে দেয়।
বাইরে তখন যেমন শীত তেমন ঠাণ্ডা তাই সে দৌড়ে বেশী দূর যেতে পারেনি। সে জানত যে বরফাবৃত স্থানটি রাত কাটাবার জন্য সুরক্ষিত স্থান নয় তাই সে নিজের জন্য সুরক্ষিত স্থানের সন্ধান করতে থাকে। এমন সময় সে একটা খালি গােলাবাড়ির সন্ধান পায় এবং সে সেখানেই নিজের জন্য বাসা তৈরি করে।
সে পুরাে শীতটা নিশ্চিতে এই খানে কাটিয়ে দেয়। মাঝে মাঝে সে শুধুমাত্র খাবারের সন্ধানে বেরাতাে। শীত যে কত বড় তা সে তখন বুঝেছিল।
অবশেষে বসন্তের আগমন ঘটে। কুৎসিত হংসশাবকটি তার গলা প্রসারিত করে ওড়ার চেষ্টা করে। এখন তার ডানাগুলি খুবই শক্ত হয়ে উঠেছিল এবং সে খুব সহজেই একটা ছােট ঝিল পারাপার করতে পারত। কুৎসিত হংসশাবকটি বসন্তের প্রথম স্নানটি উপভােগ করছিল, এমন সময় ঘাসের আড়াল থেকে তিনটি ধপধপে সাদা হাঁস বেরিয়ে আসে। উপর দিয়ে পাখীদের উড়তে দেখে তার মনে যে অনুভূতির সৃষ্টি হয়েছিল সেইই একই অনুভুতি তার মনে পুনরায় জেগে ওঠে।
সে তাদের সাথে কথা বলতে চাইছিল, কিন্তু সে জানত যে তারা তাকে খুবই অপমান করবে, তা সত্ত্বেও সে তাদের সামনে গিয়ে উপস্থিত হয়। সে তাদের সামনে গিয়ে মাথা ঝুঁকিয়ে অভিবাদন করে।
‘মাথা ঝোকাবার সময় তাকে দেখে তােমার কি মনে হচ্ছিল?’ চতুর্থ হাঁসটি বলে আমাদের মতনই সুন্দর বলে মনে হচ্ছিল। সেটা ছিল তার নিজের প্রতিচ্ছবি।
‘দেখেছে, এই শীতকালের মধ্যে কুৎসিত হংসশাবক বড় হয়ে উঠেছে। এখন আর সে ছােট নেই। এখন সে হাঁস হয়ে গেছে।
অন্য হাঁসেদের সাথেও তার বন্ধুত্ব হয়ে যায়, সে নিজেই নিজেকে বলে যে, কুৎসিত হংসশাবক হওয়ার জন্য সে যে শিক্ষা পেয়েছে তা সে কখনই ভুলবে না কিন্তু বাকি জীবনটা সে সুন্দর হাঁস হিসাবেই কাটাবে।
Tags:
bengali stories 12
Admin

100+ Social Counters
WEEK TRENDING
Loading...
YEAR POPULAR
गम् धातु के रूप संस्कृत में – Gam Dhatu Roop In Sanskrit यहां पढ़ें गम् धातु रूप के पांचो लकार संस्कृत भाषा में। गम् धातु का अर्थ होता है जा...
अस् धातु के रूप संस्कृत में – As Dhatu Roop In Sanskrit यहां पढ़ें अस् धातु रूप के पांचो लकार संस्कृत भाषा में। अस् धातु का अर्थ होता...
Riddles in Malayalam Language : In this article, you will get കടങ്കഥകൾ മലയാളം . kadamkathakal malayalam with answer are provided below. T...
पूस की रात कहानी का सारांश - Poos ki Raat Kahani ka Saransh पूस की रात कहानी का सारांश - 'पूस की रात' कहानी ग्रामीण जीवन से संबंधित ...
Spelling mistakes...
Delete