Thumbelina Story in Bengali Language: In this article, we are providing থাম্বেলিনার গল্প বাংলা for students. Thumbelina Story Bangla. একদা সেখানকার একটা সুন্দর বাগান বাড়িতে এক মহিলা বাস করত। একদিন সে ফুলের মধ্যে একটা সােনার আংটি খুঁজে পায়। আংটিটি দেখে সে নিজের মনেই বলে ওঠে বাঃ কি সুন্দর আংটি যে বুঝতে পারি নি যে তার বাগানে একজন পরী ঘুরতে এসে তার মুকুটটা ফেলে গেছে। সে বুঝতে পারেনি যে সেটা আংটি নয় মায়াবী মুকুট। মহিলাটি আংটিটি তার আঙুলে পরে নেয়। হঠাৎ করে তার বাগানে একটু নূতন টিউলিপ ফুল ফুটে ওঠ। তার পাপড়িগুলি খুলে গেলেই দেখা যায় সেখানে একটা ছােট্ট মেয়ে বসে আছে, তার উচ্চতা খুব বেশী হলে বুড়াে আঙুলের মতন। সে একটা সােনালী রঙের পােশাক পরেছিল এবং তার চুলগুলিও ছিল সােনালী।
Thumbelina Story in Bengali Language: In this article, we are providing থাম্বেলিনার গল্প বাংলা for students. Thumbelina Story Bangla.
Thumbelina Story in Bengali Language থাম্বেলিনার গল্প বাংলা
একদা সেখানকার একটা সুন্দর বাগান বাড়িতে এক মহিলা বাস করত। একদিন সে ফুলের মধ্যে একটা সােনার আংটি খুঁজে পায়।
আংটিটি দেখে সে নিজের মনেই বলে ওঠে বাঃ কি সুন্দর আংটি যে বুঝতে পারি নি যে তার বাগানে একজন পরী ঘুরতে এসে তার মুকুটটা ফেলে গেছে। সে বুঝতে পারেনি যে সেটা আংটি নয় মায়াবী মুকুট।
মহিলাটি আংটিটি তার আঙুলে পরে নেয়। হঠাৎ করে তার বাগানে একটু নূতন টিউলিপ ফুল ফুটে ওঠ। তার পাপড়িগুলি খুলে গেলেই দেখা যায় সেখানে একটা ছােট্ট মেয়ে বসে আছে, তার উচ্চতা খুব বেশী হলে বুড়াে আঙুলের মতন। সে একটা সােনালী রঙের পােশাক পরেছিল এবং তার চুলগুলিও ছিল সােনালী।
তাকে দেখে মহিলাটি বলে ওঠে – “আমার দেখা সমস্ত বাচ্চার মধ্যে তুমি সব থেকে সুন্দর। তুমি আমার সাথে এই বাড়িতে থাকবে।
ছােট্ট মেয়েটি বলে ওঠে অবশ্যই!' তখন মহিলা তা শুনে বলে তা হলে আমি তােমাকে থাম্বােলিনা বলে ডাকব।
তারা দুজনে বেশ সুখেই বসবাস করছিল।
একদিন সন্ধ্যেবেলা এই বাগানের মধ্যে একটা ব্যাঙ ঘুরাফেরা করছিল। সেই সময় থাম্বেলিনা পুকুরের ধারে বসে গান গাইছিল, সেটা তার কানে আসে। থাম্বােলিনাকে দেখে সে নিজের মনে বলে ওঠে ‘আমি এত সুন্দর মেয়ে এর আগে কখনও দেখিনি। আমি অবশ্যই একে আমার বৌ বানাব।
যতক্ষণ না থাম্বেলিনার মা ঘরে যায় ততক্ষণ পর্যন্ত ব্যাঙটি অপেক্ষা করতে থাকে, তারপরেই সে ঘাসের আড়াল থেকে বেরায় এবং থাম্বেলিনাকে বন্দী করে। ব্যাঙটি তাকে নিজের পদ্মপাতার উপর বসিয়ে সাঁতরে নদী পার হয়ে যায়।
ব্যাঙটি বলে তুমি এখানে বিশ্রাম নাও আমি আমাদের বিয়ের বন্দোবস্ত করে আসি' এই কথা বলেই সে বেরিয়ে যায়।
ব্যাঙটি বলে তুমি এখানে বিশ্রাম নাও আমি আমাদের বিয়ের বন্দোবস্ত করে আসি' এই কথা বলেই সে বেরিয়ে যায়।
থাম্বেলিনা বলে আমি কখনই একটা ব্যাঙকে বিয়ে করব না। কিন্তু সে খুবই মর্মাহত হয়ে কাঁদতে থাকে।
এই নদীর জলে একটা দয়ালু মাছ বাস করত সে থাম্বলিনার কান্না শুনে বলে আমি তােমাকে সাহায্য করতে প্রস্তুত।
এই নদীর জলে একটা দয়ালু মাছ বাস করত সে থাম্বলিনার কান্না শুনে বলে আমি তােমাকে সাহায্য করতে প্রস্তুত।
থাম্বেলিনা তাকে জিজ্ঞাসা করে – কিন্তু কি ভাবে?
মাছটি পদ্মের উঁটা ঠুকরাতে থাকে এবং তার ফলে সেটা ছিড়ে যায়। ফলে সেটা জলের উপর ভাসতে থাকে।
জলে ভেসে যাওয়ার সময় থাম্বােলিনা তার উদ্দেশ্যে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে। শীঘ্রই পদ্ম পাতাটি একটি ঘাস আবৃত নদীর কিনার এসে উপস্থিত হয়। থাম্বেলিনা মাটিতে নামে এবং তৃণভূমি দেখতে পায়।
থাম্বেলিনা নিজের মনেই বলে ওঠে ‘থাকার জন্য এটি খুবই সুন্দর জায়গা।
কিন্তু একটু বাদেই ঠাণ্ডা পড়তে থাকে এবং মাঠটি বরফে ভরে যায়। থাম্বেলিনা কাঁদতে কাঁদতে বলে এই ঠাণ্ডায় আমি কিভাবে থাকব?’ কাছেই একটা মেঠো ইঁদুর ছিল, তার কানে থাম্বেলিনার কথাগুলি যায়। কোন পরিব্রাজক দেখতে পেলে মেঠো ইঁদুরটি খুবই খুশী হয়।
ইঁদুরটি তার কাছে এসে বলে আমার গর্তে এসে সেখানে আগুনের তাপে বসে আমরা দুজনে মিলে গরম চা পান করব।
থাম্বেলিনা এবং মেঠো ইঁদুরটি খুব দ্রুতই একে অপরের বন্ধু হয়ে যান। মেঠো ইঁদুরটি তাকে জিজ্ঞাসা করে এই শীতকালটা তুমি আমার সাথে থাকবে?
থাম্বেলিনা বলে আমি সত্যিই খুব খুশী হলাম। তারা গল্প করে শীতের দিনগুলি কাটিয়ে দেয়। থাম্বেলিনা নির্ভীক রাজা এবং রাণীর গল্প শুনতে খুবই ভালােবাসে।।
থাম্বেলিনা বলে আমি সত্যিই খুব খুশী হলাম। তারা গল্প করে শীতের দিনগুলি কাটিয়ে দেয়। থাম্বেলিনা নির্ভীক রাজা এবং রাণীর গল্প শুনতে খুবই ভালােবাসে।।
একদিন থাম্বেলিনা এই গর্ত থেকে বেরিয়ে দেখে যে একটা ছােট্ট পাখি খুবই আহত হয়ে মাটিতে পড়ে আছে, তার ডানা ছিড়ে গেছে। থাম্বেলিনার সাহায্যে ছােট্ট পাখীটিও এই উষ্ণ গর্তের মধ্যে প্রবেশ করল।
ছােট্ট পাখিটি তাকে উদ্দেশ্য করে বলল “যদি তুমি না থাকতে তবে এই ঠাণ্ডায় আমি সত্যিই মরে যেতাম।
সারা শীত ধরে থাম্বেলিনা পাখিটির সেবা যত্ন করে। সে তাকে গরম গরম স্যুপ খাওয়ায় এবং তারপর ডানাটি সুস্থ করে তােলে।
সারা শীত ধরে থাম্বেলিনা পাখিটির সেবা যত্ন করে। সে তাকে গরম গরম স্যুপ খাওয়ায় এবং তারপর ডানাটি সুস্থ করে তােলে।
একদিন সকালে থাম্বেলিনা তার নিজের মাথাটি ঢেকে পুনরায় গর্তের থেকে বাইরে বেরিয়ে আসে। সে দেখে বরফ প্রায় গলে গেছে এবং সারা মাঠ জুড়ে ছােট ছােট সবুজ ঘাস জন্মেছে।
সে চিৎকার করে তার বন্ধুদের বলে ৫ বসন্ত এসে গেছে।
পাখিটির মনে হয় এবার যাওয়া উচিত, সে থাম্বেলিনাকে বলে তুমি আমার জীবন বাঁচিয়েছাে, এখন আমি তােমাকে সাহায্য করতে চাই।'
থাম্বেলিনা মেঠো ইঁদুরকে বিদায় জানিয়ে পাখির পিঠে উঠে বসে, এবং তারপরেই. পাখিটি ডানা মেলে আকাশের দিকে যায়।
পাখিটি যত জঙ্গলের ভেতর ঢুকতে থাকে থাম্বেলিনা তত বেশী আঁকড়ে থাকে, তারপর পাখিটি ধীরে ধীরে একটা ঘন ঝােপের উপর বসে। গাছের ফাক দিয়ে সূর্য কিরণ আসছিল। চতুর্দিকে বিভিন্ন রঙের সুন্দর সুন্দর ফুল ফুটে ছিল। থাম্বেলিনা নিজের মনে বলে ওঠে ‘এটা মেঠো ইঁদুরের গল্পের মন একটা মায়াবী স্থান?
হঠাৎ করে তার সামনে একটা সুন্দর পদ্ম ফুল ফোটে। এই ফুলের ভেতর একটা ছােট্ট ছেলে বসে ছিল তার উচ্চতাও বুড়াে আঙুলের বেশী হবে না। তার দুটি সুন্দর রূপালী ডানা ছিল।
থাম্বেলিয়া তাকে দেখে জিজ্ঞাসা করে ‘তুমি কে?
ছেলেটি বলে আমি ফুলের রাজা। তুমি খুবই সুন্দর। তুমি এখানেই থাক আর এই ফুলেদের রাণী হয়ে যাও।
থাম্বেলিনা বলে ‘ধন্যবাদ। আরও বলে আমি এখানে থাকতে পেয়ে খুবই সুখী হলাম।
ছােট্ট রাজা ফুল থেকে বেরিয়ে এসে মাটিতে পা রাখল। সে থাম্বেলিনাকে একজোড়া রূপালী ডানা উপহার দিয়ে বলে এটা একমাত্র রাণীকেই মানায়।
জঙ্গলের সমস্ত প্রাণীরা এই সুন্দুর প্রাণীকে দেখতে উপস্থাপিত হয়। থাম্বেলিনা সকলের সাথে একটা মায়াবী ঝােপের উপর দাঁড়িয়ে চিন্তা করে যেন সর্বদাই গরম থাকে এবং কখনই শীত ফিরে না আসে।
জঙ্গলের সমস্ত প্রাণীরা এই সুন্দুর প্রাণীকে দেখতে উপস্থাপিত হয়। থাম্বেলিনা সকলের সাথে একটা মায়াবী ঝােপের উপর দাঁড়িয়ে চিন্তা করে যেন সর্বদাই গরম থাকে এবং কখনই শীত ফিরে না আসে।
COMMENTS