Bengali Essay on My aim in life to Become a teacher : In this article, we are providing আমার জীবনের লক্ষ্য শিক্ষক রচনা for students. Essay on My aim in Life to Become a Teacher in Bengali Language. আমার এখনও সেই বয়স আসেনি, যে বয়সে আমি নিজের জীবিকা সম্পর্কে মনস্থির করতে পারি। তবুও আমি জীবিকা হিসাবে অধ্যাপনাকেই বেছে নিতে চাই। অধ্যাপন একটি মহৎ কাজ এবং এর ভবিষ্যৎও উজ্জ্বল। আমি একজন প্রফেসার হতে চাই। এখনও পর্যন্ত আমাদের দেশ নিরক্ষর দেশ বলেই পরিগণিত হয়। সুতারং যদি মানুষদের অন্ধকার থেকে আলােতে, অজ্ঞতার থেকে জ্ঞানে এবং নিরক্ষরতার থেকে স্বাক্ষরতার দিকে নিয়ে আসা যায় তবে সেটা প্রকৃতই সম্মানীয় কাজ বলে পরিগণিত হবে। এই কারণেই, আমি নিজের জীবিকা হিসাবে অধ্যাপনাকে বেছে নিতে চাই।
Bengali Essay on My aim in life to Become a teacher : In this article, we are providing আমার জীবনের লক্ষ্য শিক্ষক রচনা for students. Essay on My aim in Life to Become a Teacher in Bengali Language.
Bengali Essay on My aim in life to Become a teacher for Class 5, 6, 7, 8, 9 & 10
এই বিশ্বের সমস্ত মানুষেরই নিজের পছন্দ অপছন্দ আছে। এর উপর ভিত্তি করেই কোন মানুষ তার জীবিকা অবলম্বন করে। এই পৃথিবীতে পছন্দ করার মতন প্রচুর জীবিকা আছে। কিন্তু বেশীর ভাগ মানুষই সেই জীবিকা অবলম্বন করে যা সে সবথেকে বেশী পছন্দ করে। শৈশবকালে প্রতিটি শিশুর মধ্যেই ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা ব্যারিস্টার হওয়ার স্বপ্ন থাকে, কিন্তু অনেকে আবার রাজনীতিবিদ, রাষ্ট্রের শাসন কর্তা বা প্রফেসর হতে চায়। যে সমস্ত ব্যক্তিরা সৈন্যদলে, বায়ু সেনাদলে বা নৌসেনা দলে নিযুক্ত হতে চায় তারা প্রকৃত গর্বের অধিকারী।
কোন একটা নির্দিষ্ট জীবিকাকে পছন্দ কার খুবই কষ্টের বিষয়। মানুষের সম্পূর্ণ জীবন তার জীবিকার উপরেই নির্ভরশীল। ফলে প্রত্যেক মানুষের জীবনেই একটা লক্ষ্য থাকে। একটা লক্ষ্যহীন জীবন গন্তব্যহীন নৌকা বা জাহাজের সাথে বা ঠিকানাহীন চিঠির সাথে তুলনীয়। সুতরাং জীবিকার ব্যাপারে লক্ষ্য স্থির রাখা খুবই প্রয়ােজনীয়।
আমার এখনও সেই বয়স আসেনি, যে বয়সে আমি নিজের জীবিকা সম্পর্কে মনস্থির করতে পারি। তবুও আমি জীবিকা হিসাবে অধ্যাপনাকেই বেছে নিতে চাই। অধ্যাপন একটি মহৎ কাজ এবং এর ভবিষ্যৎও উজ্জ্বল।
আমি একজন প্রফেসার হতে চাই। এখনও পর্যন্ত আমাদের দেশ নিরক্ষর দেশ বলেই পরিগণিত হয়। সুতারং যদি মানুষদের অন্ধকার থেকে আলােতে, অজ্ঞতার থেকে জ্ঞানে এবং নিরক্ষরতার থেকে স্বাক্ষরতার দিকে নিয়ে আসা যায় তবে সেটা প্রকৃতই সম্মানীয় কাজ বলে পরিগণিত হবে। এই কারণেই, আমি নিজের জীবিকা হিসাবে অধ্যাপনাকে বেছে নিতে চাই।
অন্যান্য জীবিকার থেকে অধ্যাপনার ক্ষেত্রে অনেক বেশি সুবিধা পাওয়া যায়। প্রথমত, অন্যান্য জীবিকায় সফলতা পেতে হলে যতটা দুর্নীতির আশ্রয় নিতে হয়, অধ্যাপনা সেই দুর্নীতির হাত থেকে মুক্ত। শিক্ষকেরা তাদের ছাত্রদের জন্য সততার পথ অবলম্বন করে কঠোর পরিশ্রম করে যান, সেই দিক থেকে দেখতে গেলে এটা একটা মহৎ কাজ। তিনি তার ছাত্র ছাত্রীদের তার মস্তিষ্কে খচিত রত্নগুলি বিতরণ করেন। মানুষেরা যে অর্থ বা সুযােগ লাভ করেন জ্ঞানবর্ধক শব্দ তার থেকে অনেক বেশী মূল্যবান।
একজন অধ্যাপক সর্বদাই তার বিষয়ের সাথে সংযােজিত থাকেন। ফলে সর্বদাই সাম্প্রতিক জ্ঞানের অধিকারী হন। তার ভেতরে স্তুপাকারে তথ্য এবং জ্ঞান সঞ্চিত থাকে। তিনি হন জ্ঞানের প্রতিমূর্তি। একজন প্রফেসার সর্বদাই কোন লেখক, দার্শনিক বা জ্ঞানী ব্যক্তির লেখা পড়েন, ফলে তারা উচ্চতর মানসিকতার অধিকারী হন। জটিল সমস্যার সমাধান করার ক্ষমতা তাদের থাকে।
বেশীর ভাগ মহান মানুষেরাই তাদের জীবন শুরু করেছিলেন একজন অধ্যাপক হিসাবে। আমাদের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসার ছিলেন। আচার্য কৃপালনী ও জাকির হােসেনও আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন ভাইস চ্যান্সেলর ছিলেন। প্রাক্তন এইচ আর ডি মন্ত্রী ড. এম.এম. জোশীরও প্রচুর শিক্ষাগত যােগ্যতা ছিল।
একজন অধ্যাপকই জাতির প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা। এঁরাই একটা দুষ্ট বাচ্চার চরিত্র পরিবর্তিত করে তারমধ্যে দেশভক্তি, সেবা এবং আত্মত্যাগের বাসনা পূর্ণ করে দেয়। শিক্ষকই হল জাতির উন্নতির প্রকৃত অবলম্বন। শিক্ষকই ছাত্রের চলার পথের পথ প্রদর্শকের ভূমিকা পালন করে। তাদের জীবন গড়েই ওঠে তাকে ভিত্তি করে। এই কারণেই, এই জীবিকা আমার এত পছন্দের। শুধুমাত্র ছাত্রের ক্ষেত্রেই নয়, সমাজের ক্ষত্রেও একজন শিক্ষক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
COMMENTS