বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযােগিতা রচনা : Today, we are providing Annual Sports Competition at school Essay in Bengali For class 5,...
বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযােগিতা রচনা : Today, we are providing Annual Sports Competition at school Essay in Bengali For class 5, 6, 7, 8, 9, 10, 11 & 12. Students can Use বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযােগিতা রচনা in Bengali Language to complete their homework.
বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযােগিতা রচনা - Annual Sports Competition at school Essay in Bengali
সূচনা ও দেহ ও মন উভয়ের সমন্বয়ে গঠিত হয় জীবন। মনের উন্নতির জন্য যেমন--- জ্ঞানচর্চার প্রয়ােজন তেমনি দেহের উন্নতির জন্য প্রয়ােজন দেহ চালনা। খেলাধুলা শরীর সঞ্চালনের বিশেষ সহায়ক, এই জন্যই প্রত্যেক বিদ্যালয়ে বিদ্যাশিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে খেলাধুলার ব্যবস্থা রাখা হয় এবং বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযােগিতার মাধ্যমে তার মূল্যায়ন করা হয়।
ক্রীড়া প্রতিযােগিতা ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযােগিতার মােটামুটিভাবে একটি নির্দিষ্ট সময় থাকে। যখন পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য পড়াশনার বিশেষ চাপ থাকে তখন এ প্রতিযােগিতার ব্যবস্থা করা হয়। না। সাধারণত বার্ষিক পরীক্ষার শেষে ডিসেম্বর মাসের শেষভাগে ক্রীড়া প্রতিযােগিতার ব্যবস্থা হয়। কোথাও বা নতুন বছরের শুরুতেই এ প্রতিযােগিতা হয়ে থাকে। , ক্রীড়া প্রতিযােগিতা পরিচালনার প্রধান দায়িত্ব থাকে ক্রীড়া শিক্ষকের ওপর। অন্যান্য শিক্ষকদের ওপরও কমবেশি দায়িত্ব ন্যস্ত হয়। প্রধান শিক্ষক সাহেবও এ বিষয়ে মূল্যবান উপদেশ দিয়ে থাকেন। এবং অনুষ্ঠানটি সুচারুভাবে সম্পন্ন করার জন্য তারও যথেষ্ট ভূমিকা থাকে।
ক্রীড়া শিক্ষক, প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষকদের নিয়ে একটি সভায় মিলিত হন। সেই সভায় প্রতিযােগিতার তারিখ ও সময় নির্দিষ্ট করা হয়, একটি কার্যসূচি প্ৰতত করা হয় এবং ক্রীড়া শিক্ষককে সাহায্য করার জন্য অন্যান্য শিক্ষকগণের ওপর কিছু দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। | প্রতিযােগিতার বেশ কয়েক দিন আগে থেকেই প্রাথমিক বাছাইয়ের কাজ চলতে থাকে। কে কি প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করতে পারবে তা এই বাছাইয়ের মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে স্থির করা হয়।
প্রতিযােগিতার বর্ণনা ? অবশেষে আসে বহু প্রতিক্ষিত ক্রীড়া প্রতিযােগিতার দিনটি। পত্রে পুষ্পে সুসজ্জিত করা হয় ক্রীড়া প্রাঙ্গন। ছাত্র-ছাত্রীরা উপস্থিত হয় সুসজ্জিত বেশে। এদের মধ্যে কেউবা প্রতিযােগী আর কেউবা দর্শক | আসেন শিক্ষকবৃন্দ, অভিভাবকমণ্ডলী এবং নিমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ। সাধারণত প্রধান শিক্ষক সাহেব থাকেন অনুষ্ঠানের সভাপতি। একজন সম্মানিত ব্যক্তিকে নিমন্ত্রণ করা হয় প্রধান অতিথিরূপে। সভাপতি ও সম্মানিত অতিথি বিশেষ আসনে উপবেশন করেন।
সকাল আটটা বা ন'টার দিকে অনুষ্ঠান শুরু হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। তারপরে প্রতিযােগিদের কুচকাওয়াজ শুরু হয়। কুচকাওয়াজ শেষে তাদেরকে শপথ বাক্য পাঠ করানাে হয়। এরপর শুরু হয় ক্রীড়া প্রতিযােগিতা। উড় লাফ, দীর্ঘ লাফ, বর্শা নিক্ষেপ, চাকতি নিক্ষেপ, তিন পায়ে দৌড়, মােরগ যুদ্ধ, বিভিন্ন দৈর্ঘের দৌড়, অনেধর হাঁড়ি ভাঙ্গা প্রভৃতি ক্রীড়ায় প্রতিযােগী ছাত্র-ছাত্রীরা অংশ গ্রহণ করে। এই অনুষ্ঠানের একটি আকর্ষণীয় দিক হচ্ছে ‘যেমন খুশী তেমন সাজ' প্রতিযােগিতা | বিচিত্ররপে সজ্জিত হয়ে ছাত্র -ছাত্রীরা দর্শকদের মনে বেশ আনন্দের স এর করে। শিক্ষক এবং অভিভাবকগণও দু'একটি কীড়ায় অংশ গ্রহণ করেন। এদের মধ্যে উল্লেখযােগ্য ‘কাছি টানাটানি | কখনাে কখনাে কার্যনির্বাহী কমিটি ও শিক্ষকদের মধ্যে এই প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে।
উপসংহার ও ক্রীড়া শেষে শুরু হয় পুরস্কার বিতরণী। প্রধান অতিথিই সাধারণত পুরস্কার বিতরণ করেন। করতালি ও হর্ষধ্বনিতে মুখর হয়ে ওঠে সমগ্র এলাকা। সবশেষে সভাপতি খেলাধুলার উপকারিতা সম্বন্ধে একটি সংক্ষিত অথচ সারগর্ভ বক্তৃতা দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘােষণা করেন।
COMMENTS